জাগোকন্ঠ ১৭ আগস্ট ২০২২ , ১:৩২ অপরাহ্ণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
ডামুড্যায় শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হলেন সহকারী শিক্ষক রথি কান্ত মিস্ত্রী
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।এছাড়াও পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছুদিন পূর্বে প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক উল্টা শিক্ষার্থীদের চোখ রাঙানি দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর ৫ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রথি কান্ত মিস্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা ও স্কাউট বিষয়ক সহকারী শিক্ষক। সেই সুবাদে তিনি স্কাউটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার স্কাউটদের সাপ্তাহিক ট্রুপ মিটিং ছিল। কোনো কারণ ছাড়াই তিনি সেই মিটিং বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ওই শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।
এই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে জানালে প্রধান শিক্ষক বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মহসিন মিয়া বলেন, আমরা এখন যে অভিযোগগুলো শুনেছি তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমার মেয়েকে আর এই বিদ্যালয়ে পড়াব না।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক রথি কান্ত মিস্ত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখেন।
এ বিষয়ে ডামুড্যা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিবেদকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাকে দেখে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্রী শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, আমি ব্যাপারটি গত কাল শুনেছি। শিক্ষক সাহেব যে কাজটি করেছেন, তা নিতান্তই অন্যায় কাজ করেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবো তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।