ফয়সাল বারী,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
“ভ্যাকসিন হিরো সম্মান,স্বাস্থ্য সহকারীর অবদান” এ প্রতিপাদ্যকে
সামনে রেখে আমতলী উপজেলার হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইন্সেপেক্টর
এ্যাসোসিয়েশন টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি
সংশোধনের দাবীকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসুচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচী পালন
করা হয়। এতে আমতলী-তালতলী উপজেলার ৭০ হাজার পাচ’শ ৪১ জন শিশুর হাম
রুবেলা টিকা অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
জানাগেছে, উপজেলার ৬৩ জন হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ও হেলথ ইন্সেপেক্টর
রয়েছে। তারা মানব দেহে টিকা দিয়ে থাকেন কিন্তু তাদের টেকনিক্যাল
পদমর্যাদা দেয়া হয়নি। ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি
সংশোধনের আস্বাস দেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে গত
২২ বছরে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগবিধি সংশোধন করা হয়নি।
টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবীতে তারা
দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন কিন্তু তাদের দাবী বাস্তবায়ন
হয়নি। টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবীতে
কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী আন্দোলনের ডাক দেয় বাংলাদেশ হেলথ
এ্যাসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত
বুধবার আমতলী উপজেলার ৬৩ জন স্বাস্থ্য সহকারী হাম রুবেলা টিকাদান
প্রশিক্ষণে অংশ নেননি। বৃহস্পতিবার তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে
অনিদ্দিষ্ট কালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন শুরু করছেন।
তাদের দাবী মানা না হলে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারী
পর্যন্ত হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী বর্জনের ঘোষনা দেন তারা।
এতে আমতলী-তালতলী উপজেলার ৭০ হাজার পাচ’শ ৪১ জন শিশুর হাম রুবেলা
টিকাদান অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
আমতলৗ উপজেলা হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ
আল মামুন বলেন. কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী আমরা আন্দোলন শুরু
করেছি। দাবী মানা না পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং আগামী ৫
ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৭ জানুয়ারী পর্যন্ত হামরুবেলা টিকা দান
কর্মসূচীতে উপজেলার কোন স্বাস্থ্য সহকারী অংশ নিবেন না।
Leave a Reply