মহিউদ্দিন তুষার:
নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ উপজেলায় ঘর পেলেন মেধাবী ছাত্রী তাছলিমা। মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আনন্দে আত্মহারা তাছলিমার পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জমি আছে ঘর নাই, নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় তাকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা খরচ করে টিনশেড ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।
তাছলিমা রুপগঞ্জ উপজেলার চৌধুরীপাড়া গ্রামের কাঞ্চন পৌরসভার বাসিন্দা। তার পিতা আলেক চাঁন একজন দিনমজুর। মা পারভীন বেগম অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। দুই বোন ও এক ভাই এর মধ্যে তাছলিমাই বড়। ২০২০ এসএসসি পরীক্ষায় কাঞ্চন ভারত উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন তাছলিমা।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়া লেখার সকল খরচের দায়িত্ব নিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প অফিসার মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আমি যতদিন এই উপজেলাতে আছি ততদিন মেধাবী এই ছাত্রীর পড়া লেখার সকল খরচ বহন করবো। যাতে করে টাকার অভাবে তারমতো মেধাবী ছাত্রীর পড়া লেখা থেমে না যায়। এ ব্যাপারে আমাকে সহযোগিতা করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম।
ঘর ও পড়ালেখার করার মত এমন সুযোগ পেয়ে তাছলিমা বলেন, আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ। তাদের মাধ্যমে যা পাচ্ছি তা কখনো কল্পনাও করেনি আমার পরিবার। যত দিন বেঁচে থাকবো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো। ধন্যবাদ জানাই মনিরুল ইসলাম স্যারকে। তাদের উদারতা এবং আন্তরিকতা আমার পরিবারের জন্য উদারণ হয়ে থাকবে। তাছলিমা জানান, আমি বড় হয়ে রুপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মত সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাদের দেয়া সুযোগ যেন আমি কাজে লাগাতে পারি দোয়া করবেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পটির সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম। তিনি জানান, মেধাবী ছাত্রী তাছলিমা আর্থিক সাহায্যের জন্য একদিন উপজেলাতে আসে। মেয়েটির পরিবারের খোজ-খবর নিয়ে জানা যায় সে মেধাবী কিন্তু তার পরিবার আর্থিক ভাবেখুবই দূর্বল। তাছলিমা তার পরিবারের সাথে যে ঘরটিতে বসবাস করছে, সেই ঘরটিতে বৃষ্টি আসলেই পানি পড়ে। মেয়ের মেধা এবং তার পরিবারের আর্থিক দিক বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখহাসিনার গৃহ নিমান প্রকল্প থেকে তার পরিবারকে ঘর দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। খুব শীঘ্রই ঘরের কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, তাছলিমা একজন মেয়ে। দরিদ্র বাবার পরিবারে এই অবস্থায় থেকে ভালো ফলাফল নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই আর ঘরে ভাত না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। নতুন ঘর আর লেখা পড়ার সুযোগ পাওয়াতে আশা করি সামনের দিনগুলোতে সে আরও ভালো কিছু করবে। এই তাছলিমারা একটু সাহায্য আর সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে তারাই একদিন আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে।
Leave a Reply