জাগোকন্ঠ ৩১ জুলাই ২০২২ , ৫:৩২ অপরাহ্ণ
ভোলা প্রতিনিধি:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের অতর্কিত হামলা, বিএনপির নেতা কর্মী ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় সেচ্ছাসেবক দলের ১ জন নিহত ও আহত হয়েছে অর্ধশত এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে।
রোববার বেলা ১১টার দিকে ভোলা শহরের কালীনাথ বাজার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুমেন জানান, আমাদের সমাবেশ ছিল পূর্ব নির্ধারিত। আমরা অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সভা করেছি। সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন। সভা শেষে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুলিশের সাথে একটি নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত যাওয়ার কথাও হয়েছে।
আমরা সভা শেষ করে মিছিল শুরু করতে যাবো ঠিক এসময় বিনা উস্কানিতে পুলিশ আমাদের বাঁধা দিয়ে এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে এবং গুলি করতে থাকে।
এসময় পুলিশের গুলিতে আব্দুর রহিম (৩৮) নামের সেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হয়। গুরুতর অহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত নেতা কর্মী। এদের মধ্যে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল ও ঢাকায় পঠানো হয়েছে। এদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদিকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের নগ্ন হামলা এবং গুলি করে কর্মী হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর তার বাসভবনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন সহ জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনা সম্পর্কে ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সূপার (সদর সার্কেল) ফরহাদ সরদার বলেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী নানা অশালীন শ্লোগান দেয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষিপ্তভাবে ইটপাটকেল ছুঁড়ে তাতে আমাদের ৮/১০ জন পুলিশ আহত হয়। কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা এবং জনগনের জানমাল রক্ষায় ও আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার শেল ও সর্ট গুলি ব্যবহার করে। ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার পরপর বিএনপির কার্যালয় সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।