জাগোকন্ঠ 25 September 2023 , 10:59 am
মনিরুজ্জামান খোকন,শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
৭১’রে পা ফেলেছেন অন্ধ বাঁসি ওয়ালা বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম। ইতোমধ্যেই দীর্ঘ জীবনের ৫০ টি বসর পার করেছেন বাঁসি বাজিয়ে । বাঁসি বাজানো নেশা নয় শুধু পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এখন বৃদ্ধ রফিকের বাঁসি বাজাতে হয় পেটের দায়ে।
রফিক আব্দুল রহিম ও সোহাগ নামে দুই সন্তানের পিতা। তারা সুস্থ – সবল পুরুষ। অন্ধ পিতার কষ্টার্জিত অর্থে বড় হয়েছেন সন্তানেরা। এখন তারা বিবাহ করে স্ত্রী – সন্তান নিয়ে আলাদা সংসার গড়েছেন। অন্ধ বাঁসি ওয়ালা রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম হয়ে গেছেন অসহায়। জীবন বাঁচাতেই এই বয়সে রফিকুল ইসলাম মুন্সীকে বাঁসি বাজিয়ে হাট – বাজারে চকলেট বিক্রি করতে হয়। অনেক সময় চকলেট ক্রয়ের টাকার অভাবে অলস সময় কাটাতে হতো রফিককে। ইতিমধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়। এর পরে বিষয়টি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়।
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় রকিককে সাবলম্বী করার। এর পর গতো ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অন্ধ বাসি ওয়ালা রফিকুল ইসলাম মুন্সীকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৯ হাজার পিছ চকলেট সহায়তা হিসাবে প্রধান করা হয় । অন্ধ বাসি ওয়ালা বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম মুন্সীর হাতে নগদ অর্থ ও চকলেট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৫২ সালে একটি দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। ৪ বসর বয়সে তিনি টাইফয়েড জরে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার অভাবে তার দুচোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যায়। দৃষ্টিহীন অবস্থায় তিনি হয়ে পড়েন পরিবারের বোঝা। ভিক্ষাবৃত্তি পূর্বে থেকেই তার অপছন্দ ছিলো।
তাই তিনি ঢাকার বিভিন্ন বাস – ট্রেনে চকলেট বিক্রি শুরু করেন। ২০ বসর বয়সে পরিচয় তার এক বাঁসি ওয়ালা সাথে । সেই বাঁসি ওয়ালার কাছ থেকেই তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখন অন্ধ রফিক বাঁসি বাজিয়ে বৃদ্ধ বয়সে চকলেট বিক্রি করেন।