নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ নতুন করে দেশের অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি অঞ্চল তৃতীয় দফা বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। উজানের পাহাড়ি ঢল ও আর অবিরাম বর্ষণে বন্যার আরও অবনতি হয়েছে।
নদ-নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে ফের বিপদসীমার ওপর দিয়ে। বিশেষ করে সুরমা-কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ জেলার প্রায় সোয়া ৬ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে বন্যার্তরা।
পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ দিনদিন বেড়েই চলছে। অব্যাহত বন্যায় দুর্গতরা এখন উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আজ পর্যন্ত পানিতে ডুবে মারা গেছে ২২ জন। প্রাথমিক হিসেবে প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
উজানের ঢলে পদ্মা, ধরলা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, করতোয়া, তিস্তা, মেঘনা, সুরমা, কুশিয়ারাসহ প্রধান নদনদীতে পানি বাড়ার ফলে উত্তরের জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা ও নাটোর, পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জ এবং মধ্যাঞ্চলের জেলা মুন্সীগঞ্জ, ঢাকার দোহার, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বাকি প্রায় সব স্থানে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ১৭টি নদীর পানি ২৮টি পয়েন্টে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ধরলা, তিস্তা ও মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীতে পানি দ্রুত বাড়তে পারে। এছাড়াও ঢাকার পার্শ্ববর্তী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীতে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটার আশঙ্কা করছেন তারা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক হয়েছে তৃতীয় দফার এ ঢলে। আবার বৃষ্টির পরিমাণও বেড়েছে। সব মিলিয়ে এ দফায় ২০ থেকে ২৫টি জেলা বন্যাকবলিত হতে পারে।
Leave a Reply