স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ
লুকোচুরির মাধ্যমে জনসমাগম করে নিজের জীবনকে বিপন্ন করবেন না,অন্যের জীবনকে বিপদের দিকে ঠেলে দিবেন না।আসুন সবাই সচেতন হই, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বিনা প্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাড়িতে অবস্থান করি। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সর্ম্পকে সচেতন হয়ে নিরাপদে ঘরে অবস্থান করতে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃআবদুল ওয়াদুদ উপজেলা বাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন জনগণ যত বেশি সচেতন হবেন তত বেশি করোনা প্রতিরোধ সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে নাগরিকরা তাদের যেকোন সমস্যায় উপজেলা প্রশাসন কে জানালে উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃআবদুল ওয়াদুদ জানান, বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামারী আকার ধারণ করেছে।তিনি বলেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,জনাব মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এর নির্দেশনায়সামাজিকদূরত্ব”বজায়রাখা, অপ্রয়োজন নীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা, ইতোমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত ব্যক্তির আশেপাশের বাড়িঘর স্থানীয়ভাবে লকডাউন করা ইত্যাদি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে’। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে জানান। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, ওষুধ সরবরাহ সহ অন্যান্য জরুরি সেবা পরিবহন সচল রাখা হয়েছে। সড়কে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রবেশ দ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে যাতে অন্য এলাকার লোক অনুপ্রবেশ করতে না পারে। ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন এবং গ্রাম থেকে গ্রামে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাইকিং করে লিফলেট বিতরন করে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে আরো বিষয় নিয়ে ভাবা হবে বলেও জানান তিনি।নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এ পর্যন্ত হতদরিদ্র, কর্মহীন, গরীব, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী (চাল, ডাল,তেল, আটা, লবণ, সাবান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড ও ওয়াশহ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান বিতরণ করা হয়েছে।দাকোপের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে হত দরিদ্র, ঘরবন্ধি পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন ও অনাহারে দিন চলছে এধরনের পরিবারের সন্ধানের খোঁজ খবর নিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে । সাধ্যানুযায়ী খাদ্য সামগ্রী ঘরের দুয়ারে পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে মানুষকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা, এটি কিভাবে সংক্রমিত হয় এবং সংক্রমিত ব্যক্তির করুণ পরিণতির বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে।এ কাজে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে এর বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপজেলা সমূহের বিভিন্ন পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে যাতে নিজে সতর্ক হওয়া ও অন্যকে সচেতন করা যায়। পাশাপাশি দাকোপ উপজেলা প্রশাসন সবাইকে সচেতনকরছে।ব্যক্তিসচেতনতাইপারে কোভিড-১৯ এর সংক্রমন ঠেকাতে। -এ হোক আমাদের আজকের প্রত্যয়।
Leave a Reply