মো.তারেক হোসেন বাপ্পি :
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখাসহ নকল ও ভেজাল প্রতিরোধ এবং কোরবানির পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকি মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন এর নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির পরামর্শ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোরবানি পশুর চামড়া মনিটরিং সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্তক্রমে ঢাকাসহ সারাদেশে ৮২টি বাজারে (পাইকারি ও খুচরা) তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়। তদারকিকালে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, অধিকমূল্যে পণ্য/ঔষধ বিক্রয় করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্য/ঔষধ বিক্রি করাসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ১০০ টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিচালক (কার্যক্রম) জনাব শামীম আল মামুন মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাটে ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করাহয়। অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামাণিক, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা মাগফুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার ।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৩৯ জন কর্মকর্তা বিভাগে উপ-পরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়।
এছাড়াও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের ট্রাকসেল তদারকি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা জাগোকণ্ঠকে বলেন, আসন্ন ঈদে সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ করতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয় করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল কোরবানির পশুর হাটে ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পশু ক্রয় বিক্রয়ের উদাত্ত আহ্বান জানান।
Leave a Reply