জাগো কণ্ঠ ডেস্ক ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১২:২৯ অপরাহ্ণ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফায়েজ (৩৩) ও দুদক কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হকের (৩৫) ঘাতকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে ব্রজমোহন কলেজ ইংলিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১২টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনের ব্যানারে ছেলের ছবি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফায়েজের বাবা আব্দুল মালেক। এ সময়ে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণ হয়।
এ সময় আব্দুল মালেক বলেন, কারো কাছে কোনো চাওয়া নেই, শুধু আমার ছেলের খুনির বিচার চাই। তাদের ফাঁসি চাই।
ব্রজমোহন কলেজ ইংলিশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপোর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সৈয়দ মেহেদী হাসান, জাহিদ আব্দুল্লাহ রাহাত, বিপ্লব দাস, মোজাফ্ফর ইমন, তারিকুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের জন্য এটি লজ্জার বিষয়। এসআই ফায়েজ নিহত হওয়ার চারদিন পরও তারা ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত দুজনকে র্যাবের গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও অপরাধী ধরতে কারো কোনো তৎপরতা নেই। একজন পুলিশ সদস্য ও আরেকজন দুদক কর্মকর্তাকে পিষে মেরে ফেলার পরও বরিশাল প্রশাসনের টনক নড়ছে না। বরিশালের পুলিশ প্রশাসন ব্যস্ত সড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল করতে দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের হিসেব নিয়ে। নয়তো চারদিনে অপরাধী ধরা পড়ত।
বক্তারা আরও বলেন, এই দুজনের মৃত্যু প্রমাণ করে দেশে যারা সরকার চালান তারা ছাড়া আর কেউ নিরাপদে নেই, পুলিশ-দুদকের কর্মকর্তরাও না। ওই ঘটনার পর নিহতদের পরিবার আর ইংলিশ অ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হয়েছে। এমনকি থানা পুলিশ গণমাধ্যমকে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়েছে।
মানববন্ধনে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘাতক বাসের চালক-হেলপারকে গ্রেপ্তার করা না হলে আরও বড় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বিকেলে বরিশাল নগরীর বুসন্ধরা হাউজিং সড়কের মুখে হিমেল পরিবহনের চাপায় নিহত হন এসআই ফায়েজ ও তার মামাতো ভাই দুদক কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।