দেশজুড়ে

আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে,আক্তারুজ্জামান মিঠু

  জাগোকন্ঠ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ


ভেড়ামারা প্রতিনিধি:

ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের যে কোন দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে।

এদেশে যখনই আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে তখন এদেশের মানুষ সুশাসনের মাধ্যমে শান্তিতে বসবাস করে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে ।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। সে ধারাবাহিকতায় ভেড়ামারা-মিরপুর বাসীদের কামারুল আরেফিনকে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। 

তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশ পরিচালিত হলে সর্ব সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে বসবাস করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় স্থাপন করেন দেশের প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমান সরকার ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করেছে, যা সম্প্রচার ও টেলিযোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। 

ইতিমধ্যে বহুমুখী কার্যক্ষমতাসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকার ২০২৪ সালের মধ্যে স্থাপন করতে যাচ্ছে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল।বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্ষমতা অর্জন করেছে। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএসে উন্নীত করা হবে।

উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।

টানেল যুগের প্রবেশ করছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সম্প্রতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আওয়ামী লীগের যোগ্য ও মেধাবী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় অতুলনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এর ফলে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু, পায়রা পাওয়ার স্টেশন এবং বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো বিভিন্ন সেক্টরে ব্যতিক্রমী অর্জন হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে অবস্থিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। টানেলটি এই অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাবে এবং এর ইতিহাসে একটি নতুন যুগ চিহ্নিত করবে।

বাংলাদেশ সরকার দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সূচকের উন্নতির জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। শেখ হাসিনা, যিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত সফল প্রধানমন্ত্রী, এই ধরনের প্রচেষ্টার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন দেশ সবার। তিনি এবং তার বাবা সর্বদা মানুষের সেবা করার এবং প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছেন এবং নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশের জনগণের সেবা করছেন। তিনি একজন ব্যতিক্রমী নেত্রী এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে সর্বদা স্মরণ করা হবে। দেশের সমৃদ্ধির প্রতি তার অঙ্গীকার তাকে সমস্ত বাঙালির হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। 

তিনি আবারও অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ভেড়ামারা-মিরপুর বাসিরা কামারুল আরেফিনকে ট্রাক মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দেন।

আরও খবর: